আমি আল্লাহকে শপথ করে বলতে চাই আমি ভয় পাচ্ছি। বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখার মতো আর কেউ নেই। তাই টার্গেটও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একা। আমার বাবা ও মনসুর আলী চাচা এক রুমে ছিলেন। তাকে অজু করতে দেয়নি। পাশের রুমে নিয়ে তাদের অফার করা হয়েছিল। তারা বলেছিল আমরা মরে প্রমাণ করতে চাই আমরা শেখ মুজিবের লোক। পরে তাদের হত্যা করা হয়। আমি এখন আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি না। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের নয় তিনি এখন সকলের। তিনি বলেন, মাত্র ৩১ বছর বয়সে শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। তাকে তার ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আজকে অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। সেদিন আবারো আসতে পারে। ষড়যন্ত্র এখনো হচ্ছে, আমি জাতির পিতার দুই কন্যার জন্য দোয়া চাচ্ছি এবং নিজের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। শামীম ওসমান বলেন, সামনে আমাদের কঠিন পথ অতিক্রম করতে হবে। দেশের ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমাদের ওপর বোমা হামলা হলো। তখন আমার কথা অনেকে বিশ্বাস করেনি। ২০০৪ সালে ঠিকই শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হলো। সেদিন যদি গ্রেনেডটা ট্রাকে ফুটতো তাহলে আজ কি কেউ বেঁচে থাকতো? থাকতো না। তিনি আরও বলেন, আমরা রাজনীতি ছেড়ে চলে আসতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়েছে, আমার বাবার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। তিনি (শেখ হাসিনা) বললেন, আমার বাবার স্বপ্নপূরণ হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশ সোনার বাংলাদেশ হবে, আমরা ক্ষুধামুক্ত হতে পারবো। শামীম ওসমান বলেন, আমাদের দুটো পয়েন্টে সকলকে এক হতে হবে। এক পররাষ্ট্রনীতি আরেকটা অর্থনীতি। কিন্তু আমি দেখি কিছু সুশীল যারা দেশ বেঁচে খায়। এই পুলিশ ও র?্যাবের ওপরে যখন কোনো রাষ্ট্র একটা কিছু করেছে। আমরা সেটা ডিপ্লোমেটিকভাবে মোকাবিলা করবো। কিন্তু যখন আমাদের অপমানিত করা হলো তখন অবাক হয়ে দেখি আমাদের দেশের কিছু লোক হাততালি দেয়। এরা কারা। তারা নারায়ণগঞ্জেও এসে মিটিং করে। এ ব্যাপারটা আমাদের দেখা উচিত। এ সময় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম, র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক এ কে এম মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি আসিফ হাসান মাহমুদ, জেলা বারের সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।
Leave a Reply